হাওয়া আঃ জীবন কাহিনী
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
🌷🌷🌷🌷হাওয়া জীবনী 🌷🌷🌷🌷
হাওয়া (আঃ)-এর সৃষ্টি কাহিনী
সূরা বাকারার ৩০ ও ৩৬নং আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় : মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক (রঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর বর্ণনা এই যে, ইবলীসকে ধমক দেয়া হ'ল। তারপর ইবলীসকে যথেষ্ট ভয়ও দেখানো হ'ল । অপর দিকে ইবলীসের চাইতে আদম (আঃ)-এর জ্ঞান ও মর্যাদার বড়ত্বও প্রকাশ করা হয়ে গেল । এই পর্যায়ে আদম (আঃ) এর উপর তন্ত্রা চাপিয়ে দেয়া হ'ল । তার তন্দ্রা অবস্থায় তাঁর বাম পাঁজর থেকে হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করা হ'ল । তন্দ্রা কেটে গিয়ে আদম (আঃ) জেগে উঠলেন। জেগেই হাওয়া (আঃ) কে দেখতে পেলেন। তিনি দেখতে পেলেন যে, তারই মত রক্ত মাংসের মানুষ হাওয়া (আঃ) তাই হাওয়ার (আঃ) জন্য তাঁর অন্তরের মমতা জেগে উঠল। এটাই ছিল আদম (আঃ) তথা মানবজাতির অন্তরের জাগানো প্রথম প্রেম-ভালোবাসা।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) এ সম্পর্কে বলেন : আদম (আঃ)-এর সিজদা না করে অবাধ্যতা প্রকাশ করায় ইবলীসকে জান্নাত থেকে তাড়িয়ে দেয়া হ'ল এবং আদম (আঃ) কে জান্নাতে থাকতে দেয়া হ'ল। কিন্তু সে সময় তিনি একাকী ছিলেন। তিনি একাকী ছিলেন বলে তার ঘুমের সময় তাঁর পাঁজর থেকে পাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়। ঘুম থেকে জেগেই তিনি হাওয়া (আঃ) কে দেখতে পেলেন। তিনি হাওয়া (আঃ) কে প্রশ্ন করলেন, তুমি কে? হাওয়া (আঃ) বললেন, আমি হাওয়া। আমি একজন নারী। আপনার শান্তির সহায়ক হওয়ার জন্যে আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তখন ফিরিস্তাগণ আদম (আঃ এর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করলেন, বলুন, এর নাম কি?
আদম (আঃ) বললেন, এর নাম হাওয়া।
-এই নামের কারণ কি?
একে জীবিত মানুষ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই এর নাম হাওয়া হয়েছে। সে সময় আল্লাহ তা'আলা আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ)-এর বিবাহ বন্ধন করে দেন। আদম ও হাওয়া (আঃ) তখন জান্নাতে ছিলেন। আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বললেন ঃ “হে আদম! তুমি আর তোমার স্ত্রী জান্নাতেই বসবাস করতে থাক। জান্নাতের যে জিনিস তোমাদের মন চায় খাও। তোমাদের মন যা চায় পান কর। কিন্তু ঐ গাছের কাছেও যেওনা।” এই বিশেষ গাছটি আদম ও হাওয়া (আঃ) এর জন্যে একটি পরীক্ষা ছিল।
হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল আদম (আঃ)-এর শান্তি সুখের সহযোগী হিসেবে। ইহা আল্লাহ তা'আলার বিশেষ মেহেরবাণীগুলোরই একটি। কেননা, আল্লাহ তাঁর বান্দা আদম (আঃ) কে সঙ্গীহীন এবং অসুখী দেখতে চাননি। তিনি আদম (আঃ) কে তাঁর নিজের মধ্যে থেকে তাঁরই মত মানব স্বভাবের একজন সঙ্গীনী দান করার ইচ্ছা করেন । সে সঙ্গী যাতে আদম (আঃ)-এর সুখ শান্তি আরাম আনন্দ ও স্বস্তি প্রশান্তির সহায়ক হতে পারে। ঠিক এই দিকগুলোই তাঁর দ্বারা রক্ষা করা হবে। এই বিশেষ উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তার দিক চিন্তা করেই হাওয়া (আঃ) কে মানুষ বানিয়েও নারী বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছিল।
আদম (আঃ)-এর সৃষ্টি নিয়ে ফেরেস্তাগণের আলোচনা
সূরা বাকারার ৩০নং আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় : আল্লাহ তা'আলা পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি সৃষ্টি করার কথা বললে ফিরিস্তাগণ আপত্তি করেছিলেন। ফিরিস্তাগণের আপত্তির কারণ ছিল জ্বিন জাতির আচরণ। মানুষের আগে জ্বিনেরা এ পৃথিবীর বাসিন্দা ছিল। তারা মারামারি-কাটাকাটি ও রক্তপাত এত বেশি লিপ্ত ছিল যে, শেষ পর্যন্ত তাদেরকে দমন করার জন্য তাদের সর্দার ইবলীসকে পাঠাতে হয়েছিল। মূলতঃ এ বিষয়টি জানতেন বলেই ফিরিস্তাগণ পৃথিবীর খলীফা প্রসঙ্গে আপত্তি করেছিলেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : ঐ সময় ফিরিস্তাগণ আদম (আঃ) এর মানব যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না। তারা বলছিলেন, আমাদের চাইতে বেশি জ্ঞান, আদর্শ ও মর্যাদা সম্পন্ন সৃষ্টি হওয়া সম্ভবপর নয়। তাদের এ কথা শুনে আল্লাহ তাদেরকে পরীক্ষা করেন। এরূপে সকলের উপরই বিভিন্ন রকম পরীক্ষা আপতিত হয়। ইবনু কাসীরে সূরা বাকারার ৩৪নং আয়াতের তাফসীর থেকে প্রমাণিত হয়ঃ সে সময় ফিরিস্তাগণের গোপন কথা ছিল এই যে, আল্লাহ তা'আলা যে মাখলুকই সৃষ্টি করুন না কেন, সে মাখলুক থেকে আমরা বেশি জ্ঞানী এবং মর্যাদাবান হব, এতে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না। কিন্তু এরপর প্রমাণিত হল যে, জ্ঞান ও মর্যাদায় আদম (আঃ) তাদের চাইতে অনেক উপরে।
আল্লাহ যখন বললেন ঃ ‘আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাই” ফিরিস্তাগণ তখন বললেন : “তারা কি পৃথিবীতে অশান্তি মারামারি ও রক্তপাত করবে না?” ফিরিস্তাগণ জ্বিনদের আচরণ দেখেছেন বলেই এমন প্রশ্ন উত্থাপন করেন। অন্যদিকে ফিরিস্তাগণের ধারণা ছিল, তাদের চাইতে উত্তম মাখলুক হতে পারে না। তাই তারা তাদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, আমাদের চাইতে বেশি জ্ঞানবান ও মর্যাদাবান মাখলুক সৃষ্টি করা অসম্ভব । আল্লাহ ফিরিস্তাগণের আপত্তির জবাবে বলেছিলেন : “আমি সেসব কিছুই জানি, যা তোমরা জাননা।” ফিরিস্তিাগণের পক্ষে 'আল্লাহু আলীমুল’- '-এর এই জবাবকে অস্বীকার করার উপায় তো নেই। তাই ফিরিস্তাগণ নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিলেন। সর্বশেষে তারা বলতে বাধ্য হলেন : “পবিত্রতা আপনারই, (হে আমাদের রব)। আমরা ঐটুকু ছাড়া কোন কিছুই জানিনা, একমাত্র আপনি যা আমাদের শিখিয়ে দেন।👍👍👍👍
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ধন্যবাদ,,,,,,,,,,,,,,,, ইসলামিক এইরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন,,,,,,,,,,,,,
Comments