Posts

নগ্নতা শয়তানের প্রথম কাজ

Image
নগ্নতা শয়তানের প্রথম কাজ  নগ্নতা শয়তানের প্রথম কাজ থেকে কাপড় খসিয়ে তাকে উলঙ্গ করে দেওয়া। আজও পৃথিবীতে শয়তানের পদাংক অনুসারী ও ইবলীসের শিখন্ডীদের প্রথম কাজ হল তথাকথিত ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার নামে নারীকে উলঙ্গ করে ঘরের বাইরে আনা ও তার সৌন্দর্য উপভোগ করা। অথচ পৃথিবীর বিগত সভ্যতাগুলি ধ্বংস হয়েছে মূলতঃ নারী ও মদের সহজলভ্যতার কারণেই। অতএব সভ্য-ভদ্র ও আল্লাহভীরু বান্দাদের নিকটে ঈমানের পর সর্বপ্রথম ফরয হল স্ব স্ব লজ্জাস্থান আবৃত রাখা ও ইযযত-আবরূর হেফাযত করা। অন্যান্য ফরয সবই এর পরে। নারীর পর্দা কেবল পোষাকে হবে না, বরং তা হবে তার ভিতরে, তার কথা-বার্তায়, আচার-আচরণে ও চাল-চলনে সর্ব বিষয়ে। পরনারীর প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি ও মিষ্ট কণ্ঠস্বর পরপুরুষের হৃদয়ে অন্যায় প্রভাব বিস্তার করে। অতএব লজ্জাশীলতাই মুমিন নর-নারীর অঙ্গভূষণ ও পারস্পরিক নিরাপত্তার গ্যারান্টি। নারী ও পুরুষ প্রত্যেকে একে অপরের থেকে স্ব স্ব দৃষ্টিকে অবনত রাখবে (নূর ২৪/৩০-৩১) এবং পরস্পরে সার্বিক পর্দা বজায় রেখে কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কথাটুকু স্বাভাবিকভাবে সংক্ষেপে বলবে। নারী ও পুরুষ প্রত্যেকে নিজ নিজ স্বাতন্ত্র্য ও পর্দা বজায় রেখে স্ব স্ব কর্ম...

আদমের পাঁচটি শ্রেষ্ঠত্ব

Image
আদমের পাঁচটি শ্রেষ্ঠত্ব (১)তাকে নিজ দু’হাতে সৃষ্টি করেছেন (ছোয়াদ ৩৮/৭৫)। (২) আল্লাহ নিজে তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দিয়েছেন (ছোয়াদ ৩৮/৭২)। (৩) আল্লাহ তাকে সকল বস্ত্তর নাম শিক্ষা দিয়েছেন (বাক্বারাহ ২/৩১)। (৪) তাকে সিজদা করার জন্য আল্লাহ ফেরেশতাদের নির্দেশ দিয়েছেন (বাক্বারাহ ২/৩৪)। (৫) আদম একাই মাত্র মাটি থেকে সৃষ্ট। বাকী সবাই পিতা-মাতার মাধ্যমে সৃষ্ট (সাজদাহ ৩২/৭-৯)। ইবলীসের অভিশপ্ত হওয়ার কারণ ছিল তার ক্বিয়াস। সে আল্লাহর আদেশের বিরুদ্ধে যুক্তি পেশ করে বলেছিল, ‘আমি আদমের চাইতে উত্তম। কেননা আপনি আমাকে আগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি দয়ে’ (হিজর ২৯)। মুহাম্মাদ ইবনু সীরীন বলেন, اول من قاس ابليس ‘প্রথম ক্বিয়াস করেছিল ইবলীস’। হাসান বছরীও অনুরূপ বলেছেন।[আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ১/৬৬] নারী জাতি পুরুষেরই অংশ এবং তার অনুগত্য  সিজদা অনুষ্ঠানের পর আল্লাহ আদমের জুড়ি হিসাবে তার অবয়ব হতে একাংশ নিয়ে অর্থাৎ তার পাঁজর হতে তার স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করলেন[নিসা ৪/১; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩২৩৮] মাটি থেকে সৃষ্ট হওয়া আদমের নাম হল ‘আদম’ এবং জীবন্ত আদমের পাঁজর হতে সৃষ্ট হওয়ায় তাঁর স্ত্রীর ন...

শয়তানের সৃষ্টি ছিল মানুষের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ

Image
 শয়তানের সৃষ্টি ছিল মানুষের জন্য পরীক্ষা  Satan's creation was a test for man ইবলীসকে আল্লাহ মানুষের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ সৃষ্টি করেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তার হায়াত দীর্ঘ করে দেন। মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুৎ করার জন্য ও তাকে ধোঁকা দেওয়াই শয়তানের একমাত্র কাজ। ‘সে মানুষকে বলে কুফরী কর’। কিন্তু যখন সে কুফরী করে, তখন শয়তান বলে ‘আমি তোমার থেকে মুক্ত। আমি বিশ্বপ্রভু আল্লাহ্কে ভয় করি’ (হাশর ৫৯/১৬)। অন্যদিকে যুগে যুগে নবী-রাসূল ও কিতাব পাঠিয়ে আল্লাহ মানুষকে সত্য পথ প্রদর্শনের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখেন (বাক্বারাহ ২/২১৩)। আদম থেকে শুরু করে শেষনবী মুহাম্মাদ (সাঃ) পর্যন্ত এক লক্ষ চবিবশ হাযার পয়গাম্বর দুনিয়াতে এসেছেন [1]  এবং বর্তমানে সর্বশেষ এলাহীগ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ধারক ও বাহক মুসলিম ওলামায়ে কেরাম শেষনবীর ‘ওয়ারিছ’ হিসাবে[তিরমিযী, আহমাদ, আবুদাঊদ মিশকাত হা/২১২] আল্লাহ প্রেরিত অহীর বিধান সমূহ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেবার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন (মায়েদাহ ৫/৬৭)। পৃথিবীর চূড়ান্ত ধ্বংস তথা ক্বিয়ামতের অব্যবহিত কাল পূর্ব পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকবে। শেষনবীর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী পৃথিবীর এমন...

আল্লাহকে হত্যা করার জন্য নমরুদ কি ভাবে আকাশে উঠলো

Image
  আল্লাহকে হত্যা করার জন্য নমরুদ কি ভাবে আকাশে উঠলো আল্লাহকে হত্যা করার জন্য নমরুদ কি ভাবে আকাশে উঠলো   যুগ যুগ দরে যত নবী রাছুল এসেছেন সবাই ইসলাম পচারের জন্য অনেক আঘাত ও লাঞ্চিত হয়েছিলো খোদা দ্রহি নাফরমানী হাতে  প্রতেক নবী ও রাসুলের যুগে বসবাস করতেন। এমন পাপিষ্ঠ ও নাফরমানরা   ঐ যুগে এমন এক বাদশা ছিল। যে কিনা নিজেকে খোদা দাবি করতেন। সে ছিলো চার জন বাদশা মধ্যে অন্যতম এক জন সে 400 বছর দেশ শাসন করেছিলেন সে এতো টাই বেপরোয়া হয়েছিলো নিজেকে খোদা দাবি করল একদিন ইব্রাহীম আঃ বলেন হে নমরুদ তুমি ঈমান আনো আর পরো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহীম ও খলিল উল্লাহ  এই কথা শুনে নমরুদ বলে আমি নিজেই খোদা  তোমার খোদা আবার কোনটা ,,,,,,নাউছুবিল্লাহ ,,,,,,, ইব্রাহীম আঃ বলেন আমার খোদা জান নিতে ও পারে আবার দিতেও পারে তিনি এক তাহার কোন সরিক নাই নমরুদ বলে আমি ও তো পারি এই বলে নিষ্টুর নমরুদ সংগে সংগে ছুরির আঘাতে একজন -কে হত্যা করে। ফেলে বলে দেখ আমি জান নিতেও পারি দিতেও পারি দেখ আমি তর খোদা কে হত্যা করে। তার রাজ্য আমি দখল করব  নমরুদ সপ্নে  দেখে  আগুন থেকে  একটি লো...

কাবিলের কোরবানি কবুল হয়নি কেন?

Image
 18/9/2023⭐⭐⭐ কেন কোরবানী কবুল হয়নি  সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৩ আশ্বিন ১৪৩০ মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীনের নিকট থেকে স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে মুসলিম মিল্লাতের আদি পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ:) নিজ শিশুপুত্রকে কোরবানি করার প্রচেষ্টার মাধমে ত্যাগের যে মহান শিক্ষা পৃথিবীতে রেখে গেছেন সেটিই আজ মুসলিমদের বড় ধর্মীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। হযরত ইব্রাহীম (আ:) মহান আল্লাহ্ তায়ালার সস্তুষ্টি লাভের আশায় এক কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে অত্যন্ত সফলভাবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, যা পবিত্র কোরআন শরীফে বিধৃত হয়েছে (সুরা আল-মায়েদা ২৭-৩১)। মাত্র এগার বছর বয়সী নিজ শিশুপুত্র হযরত ঈসমাইল (আ:)-কে আলালাহ্র রাহে উৎসর্গ করার জন্য তিনি যখন বার বার ছুরি চালিয়েও ব্যর্থ হন তখন মহান আল্লাহ্র নির্দেশে হযরত জিবরিল (আ:) বেহেস্ত থেকে সেখানে একটি দুম্বা এনে প্রতিস্থাপন করলে সেটি কোরবানি হয়ে যায়। কিন্তু কোরবানি অর্থ শুধু পশু কোরবানি করা নয়। এর ইতিহাস, রহস্য ও মাহাত্ম্য আরো সুপ্রাচীন। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীন পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন মুসলিম মিল্লাতের সবচে’ আদি পিতা-মাতা হযরত আদম (আ:) ও হযরত হাওয়াকে সৃষ্টি করে বেহেস্তÍ থেকে ...

হাবিল কাবিল এর জীবন কাহিনী আপন বোনকে বিয়ে করল

Image
 হজরত আদম এবং হাওয়া (আ.)–এর অনেক সন্তান ছিল। তাদের দুই ছেলে ছিল—কাবিল ও হাবিল   আদম ও হাওয়া (আ.)–এর আকলিমা নামে একটি মেয়ে ছিল। কাবিল তাকে বিয়ে করতে চাইত।⭐⭐⭐⭐⭐ হজরত আদম এবং হাওয়া (আ.)–এর অনেক সন্তান ছিল। তাদের দুই ছেলে ছিল—কাবিল ও হাবিল। কাবিল ছিল বড়। মা-বাবার কথা মেনে চলত না। হাবিল ছিল ছোট। মা-বাবাকে মেনে চলত। আদম ও হাওয়া (আ.)–এর আকলিমা নামে একটি মেয়ে ছিল। কাবিল তাকে বিয়ে করতে চাইত। কিন্তু আদম ও হাওয়া (আ.) চাইলেন আকলিমাকে ছোট ছেলে হাবিলের সঙ্গে বিয়ে দিতে। কাবিল তা মেনে নিতে পারেনি। এভাবে কাবিল নিজের মা-বাবা এবং ভাইয়ের শত্রু হয়ে গেল। তাদের মধ্যে বেঁধে গেল বিবাদ। তখন সৃষ্ট এ বিবাদ নিরসনে আল্লাহ হুকুম দিলেন, ‘তোমরা কোরবানি করে পাহাড়ের ওপর রেখে এসো। যার কোরবানি কবুল হবে, তার সঙ্গে আকলিমার বিয়ে হবে।’ এটি দেখে বড় ভাই কাবিল খুব রেগে গেল। সে হাবিলকে বলল, ‘আমি তোমাকে হত্যা করব।’ হাবিল বলল, ‘আল্লাহ সৎ বান্দার কোরবানি কবুল করেন। এখন তুমি যদি আমার সঙ্গে লড়াই করো, তবে আমি তোমার গায়ে হাত তুলব না।’ অবশেষে এর জেরে একদিন বড় ভাই কাবিল ছোট ভাই হাবিলকে হত্যা করল। এটা ছিল প...

আদম আঃ কতো জন সন্তান ছিলো

Image
 ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,বিসমিল্লাহির রাহমানি রাহিম, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, প্রশ্ন: আদি পিতা হযরত আদম (আ.) এর কতজন পুত্র ও কন্যা সন্তান ছিলেন। হাবিল ও কাবিলের মধ্যে কে মুসলমান ও কে ইয়াহুদী ছিলেন। তাদের মধ্যে কি ঘটেছিল? উত্তর : হযরত আদম (আ.)-এর সন্তানের সংখ্যা সম্পর্কে ঐতিহাসিক বর্ণনায় মতানৈক্য পরিলক্ষিত হয়। ইমাম ইবনে জারীর তাবারী (র.) তদীয় ইতিহাস গ্রন্থে হাওয়া (আ.)-এর গর্ভে হযরত আদম (আ.) এর ২০ দফায় চল্লিশজন সন্তানের জন্ম গ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন। (তারীখে তাবারী-১৮৪, বেদায়া নেহায়া ১/৮৯, আল কামীল ১/৪২)। আর কেউ কেউ একশত কুড়ি দফায় দুইশত চল্লিশ জন সন্তান জন্মলাভের কথা উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য যে, উক্ত আদম সন্তানের অর্ধেক সংখ্যক ছেলে সন্তান অর্ধেক সংখ্যক মেয়ে সন্তান ছিলেন। কেননা প্রতি দফায় একজন ছেলে ও একজন মেয়ে জন্মগ্রহণ করত। সর্বপ্রথম দফায় কাবীল ও তাহার যমজ ভগ্নী একলিমা এবং সর্বশেষ দফায় আবদুল মুগীস ও তদ্বীয় যমজ ভগ্নী উম্মুল মুগীস জন্মগ্রহণ করেন (সীরাত ও বিশ্বকোষ ১/৮০)। হাবিল ও কাবিলের কেউ ইয়াহুদী ছিলেন না, তার...